উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন প্রয়োজন ও স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (গাকৃবি) চালু করেছে আধুনিক ডিজিটাল ভেন্ডিং মেশিন।
আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেল ২টা ১৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্মেলন কেন্দ্রে উপাচার্য প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনের মাধ্যমে গাকৃবি স্মার্ট সেবা এবং শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গঠনের যাত্রায় আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। অনুষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত থেকে ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এখন দেশের শীর্ষস্থানীয় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়েও গৌরব অর্জন করেছে। শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করাই আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য। এই ভেন্ডিং মেশিন তারই অংশ—একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ, যা স্মার্ট ক্যাম্পাস গঠনের পথে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।”
তিনি আরও জানান, আগামী ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে গাকৃবিতে আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে আটটি দেশের শিক্ষাবিদ ও গবেষক অংশ নেবেন। এছাড়া খুব শিগগিরই বিশ্বের পাঁচটি দেশ থেকে পিএইচডি প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থীরা ভর্তি হবেন, যা গাকৃবির আন্তর্জাতিক মর্যাদার আরেকটি স্বীকৃতি।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে উপাচার্য জানান, প্রতিটি আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের জন্য ভেন্ডিং মেশিন, ওয়াশিং মেশিন, ডে-কেয়ার সেন্টার এবং মেয়েদের জন্য বিউটি পার্লার স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শরীফ রায়হান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. এম. ময়নুল হক, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. সফিউল ইসলাম আফ্রাদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার মো. আবদুল্লাহ মৃধা, প্রক্টর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল আলমসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
ভেন্ডিং মেশিন চালু হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। তারা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সময়োপযোগী পদক্ষেপ তাদের দৈনন্দিন জীবনে সুবিধা এনে দেবে এবং ক্যাম্পাসে আধুনিকতা ও স্বয়ংক্রিয়তার ছোঁয়া আরও বাড়াবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মতে, এটি শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, বরং গাকৃবিকে ‘স্মার্ট ইউনিভার্সিটি’ রূপান্তরের এক বাস্তব প্রতিফলন।
