চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে দুর্বৃত্তদের গুলিতে রুহুল আমিন (৩৫) নামে এক বিক্রয় প্রতিনিধি নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নের সমিতির পোলের গোড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রুহুল আমিন ফরিদগঞ্জ পৌরসভার পূর্ব বড়ালি এলাকার মিজি বাড়ির হোসেন মিজির বড় ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সিটি কোম্পানির বেঙ্গল গ্রুপের বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে পণ্য সরবরাহ করতেন।
গুলি করে হত্যার সংবাদ পেয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ আব্দুর রকিব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফুর রহমান ও হাজীগঞ্জ-ফরিদগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মুকুর চাকমা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী রাড়ি বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম মো. কাউসার বলেন, “রাত সাড়ে ১০টার দিকে আমি দোকানের সামনে বসে ছিলাম। হঠাৎ গৃদকালিন্দিয়া সড়ক দিক থেকে দ্রুতগতিতে একজন লোক দৌড়ে এসে ‘ডাকাত, ডাকাত’ বলে চিৎকার শুরু করে। পরে লোকটি রাড়ি বাড়ির ভেতরে ঢুকে যায়। তার পেছন পেছন একটি জিক্সার মোটরসাইকেলে করে দুজন লোক ভেতরে ঢোকে। কিছুক্ষণ পরই তারা দ্রুত বের হয়ে পালিয়ে যায়।”
তিনি আরও বলেন, “এ সময় ব্রিজের পাশে সোহেল নামে এক যুবক মাছ ধরছিল। সন্ত্রাসীরা পালানোর সময় সোহেল তাদের বাধা দেয় এবং একজনকে টেঁটা দিয়ে আঘাত করে। তখন তারা সোহেলকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়, তবে তিনি আহত হননি। এরপর কিছুটা দূরে পশ্চিম পাশে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন রুহুল আমিন। ঘটনাটি মাত্র আধা মিনিটের মধ্যেই ঘটে যায়।”
গুলির শব্দে মুহূর্তেই আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ভিড় করে। খবর পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ্ আলম সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
তিনি বলেন, “আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এটি ডাকাতির ঘটনা নাকি পূর্ব শত্রুতার জেরে খুন — তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।”
মরদেহ উদ্ধার করে বুধবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
