ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শুরু করেছে একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ। এর অংশ হিসেবে স্নাতক সম্মান প্রথম বর্ষে আইসিটি ও ইংরেজি কোর্স বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি সারাদেশের কলেজ শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এরই ধারাবাহিকতায় ৯০ জন কলেজ শিক্ষক ‘কোর ট্রেইনার’ হিসেবে আইসিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) অডিটোরিয়ামে সোমবার (১০ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হয় কোর ট্রেইনারদের প্রশিক্ষণ সমাপন অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সদস্য ড. কাইয়ুম আরা বেগম এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মামুনুর রশীদ ভূঞা, এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুর রফিক এবং ইউনিসেফের চিফ অব এডুকেশন দীপা শংকর।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে স্বাগত বক্তব্য দেন স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুদ্দারদা। প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের বিস্তারিত উপস্থাপন করেন এটুআই প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট লিড আব্দুল্লাহ আল ফাহিম। অনুষ্ঠানের শেষে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকদের হাতে সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, এই আইসিটি প্রশিক্ষণ শুধু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নয়, বরং সারাদেশের তরুণ-তরুণীদের প্রযুক্তি দক্ষতা অর্জনের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
তিনি সরকারের এটুআই প্রোগ্রাম ও ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সকল কলেজে আইসিটি ল্যাব প্রতিষ্ঠায় সরকারি সহায়তা কামনা করেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই উদ্যোগের লক্ষ্য ২০২৬ সালের মধ্যে সারাদেশের ১২ হাজার শিক্ষককে আইসিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা। বর্তমানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৯০ জন কোর ট্রেইনার পর্যায়ক্রমে ৯০০ জন মাস্টার ট্রেইনার তৈরি করবেন, যারা পরবর্তীতে কলেজ পর্যায়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেবেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত প্রায় আড়াই হাজার কলেজে প্রতিবছর সাড়ে তিন লাখের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়-তাদের সবার কাছে মানসম্মত আইসিটি শিক্ষা পৌঁছে দিতে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম নতুন যুগের সূচনা করেছে।
