23 C
Dhaka
Thursday, December 4, 2025

কোরআন তেলাওয়াত চালিয়ে রেখে অন্য কাজ করলে কী হয়, জেনে নিন

আলোচিত সংবাদ

বর্তমান যুগে প্রযুক্তির সহজলভ্যতার কারণে কোরআন তিলাওয়াত শোনা আগের চেয়ে অনেক সহজ হয়ে গেছে। মোবাইল, কম্পিউটার বা সাউন্ড সিস্টেমে মানুষ সহজেই কোরআনের অডিও চালিয়ে রাখতে পারেন। তবে দেখা যায়, অনেকেই তেলাওয়াত চালিয়ে দিয়ে নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন— কেউ রান্নাঘরে যান, কেউ অফিসের কাজে মন দেন, আবার কেউ শুধুই ব্যাকগ্রাউন্ডে কিছু শোনার অভ্যাসে কোরআনের তেলাওয়াত চালিয়ে রাখেন। কিন্তু তেলাওয়াতের প্রতি মনোযোগ নেই, আয়াতগুলো শোনা বা অনুধাবনের কোনো উদ্দেশ্যও থাকে না। ফলে প্রশ্ন জাগে, ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে এমনভাবে কোরআন তেলাওয়াত চালিয়ে রেখে অন্য কাজে ব্যস্ত থাকা কি জায়েজ? এতে কোনো গোনাহের আশঙ্কা আছে কি?

আরও পড়ুনঃ  গাজীপুরে গ্রামীণ টেলিকমের রিসোর্টে আবারও ‘বোতল বোমা’ নিক্ষেপ

এ বিষয়ে ইসলামি গবেষণা পত্রিকা মাসিক আল কাউসারের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, এ কাজটি ঠিক নয়। কোরআন তেলাওয়াত শোনা একটি স্বতন্ত্র আমল। আল কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘যখন কোরআন তেলাওয়াত হয় তখন তোমরা মনোযোগ সহকারে তা শ্রবণ করো এবং চুপ থাক, যাতে তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করা হয় (সুরা আরাফ : ২০৪)। যারা তেলাওয়াত ছেড়ে তা না শুনে অন্য কাজে লিপ্ত থাকেন, তারা কোরআনের এই হুকুমের খেলাফ কাজ করে থাকেন।

আরও পড়ুনঃ  বাংলাদেশি ১৩ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে ‘আরাকান আর্মি’

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেও অন্যের থেকে তেলাওয়াত শুনতে পছন্দ করতেন। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বললেন, আমাকে তেলাওয়াত করে শোনাও। বললাম, আপনাকে কোরআন তেলাওয়াত করে শোনাব, কোরআন তো আপনার ওপরই নাজিল হয়েছে! রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আমি অন্যের কাছ থেকে তেলাওয়াত শুনতে পছন্দ করি। আমি সুরা নিসা তেলাওয়াত করতে শুরু করলাম। যখন এই আয়াতে পৌঁছলাম, ‘যখন আমি প্রত্যেক উম্মত থেকে একজন সাক্ষী উপস্থিত করব এবং আপনাকে উপস্থিত করব তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষীরূপে, তখন কী অবস্থা হবে?’ তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, থামো (হে আব্দুল্লাহ!)। আমি নবীজির দিকে তাকিয়ে দেখি তার দুগণ্ড বেয়ে অশ্রু ঝরছে। (বোখারি : ৪৫৮২)

আরও পড়ুনঃ  বিএনপি মানুষের ভালোবাসার দল : নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু

উল্লিখিত আয়াত ও হাদিসের আলোকে ফুক্বাহায়ে কেরাম বলেন, আল্লাহর কালাম তেলাওয়াত হচ্ছে আর আপনি অন্যদিকে মনোযোগ দেবেন, তা হয় না। সুতরাং তেলাওয়াত যখন শুনবেন তো মনোযোগ দিয়েই শুনবেন। আর কাজ করার সময় যদি কিছু শুনতেই হয়, তাহলে গোনাহের কিছু না শুনে শরিয়তসম্মত গজল সংগীত শোনা যেতে পারে।

Facebook Comments Box

আরও পড়ুন