দীর্ঘ সতেরো বছর নির্বাসিত জীবন যাপন শেষে চলতি মাসের শেষ দিকেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারেন বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তার বিরুদ্ধে থাকা মামলা জটিলতার অবসান হওয়ায় তারেক রহমানের দেশে ফেরার পথ সুগম হয়েছে।
মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “আমরা আশা করছি, এই মাসের শেষ নাগাদ তিনি দেশে ফিরতে পারেন। নাহলে দুয়েক দিন এদিক-ওদিক হতে পারে হয়ত।”
২০০৮ সালে জরুরি অবস্থার মধ্যে পরিবার নিয়ে দেশ ছাড়ার পর থেকে তারেক রহমান লন্ডনে বসবাস করছেন। গত ৬ অক্টোবর প্রকাশিত বিবিসি বাংলার এক সাক্ষাৎকারে তিনি দেশে ফেরার বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
নির্বাচনের আগে দেশে থাকা প্রসঙ্গে তারেক রহমান তখন বলেছিলেন, রাজনীতি যখন করি, আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে স্বাভাবিক, নির্বাচনের সাথে রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক কর্মীর একটি ওতপ্রত সম্পর্ক। কাজেই যেখানে একটি প্রত্যাশিত, জনগণের প্রত্যাশিত নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনের সময় কেমন করে দূরে থাকব? আমি তো আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে, ইচ্ছা থাকবে, আগ্রহ থাকবে—সেই প্রত্যাশিত, যে প্রত্যাশিত নির্বাচন জনগণ চাইছে। সেই প্রত্যাশিত নির্বাচন যখন অনুষ্ঠিত হবে, জনগণের সাথে জনগণের মাঝেই থাকব ইনশাআল্লাহ।
প্রায় দুই দশক ধরে দল ও নির্বাচন পরিচালনায় নিবিড়ভাবে জড়িত থাকলেও তারেক রহমান কখনো সরাসরি ভোটের মাঠে প্রার্থী হননি। তবে এবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হচ্ছেন।
তিনি তাঁর মা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পুরনো এবং একচ্ছত্র আধিপত্য থাকা বগুড়া-৬ (সদর) আসন থেকে প্রার্থী হবেন। বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের জুন মাস থেকে এই আসনটিতে কখনও পরাজয়ের মুখ দেখেননি। মায়ের সেই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তারেক রহমান নির্বাচনী রাজনীতিতে আনুষ্ঠানিক অভিষেক ঘটাবেন বলে জানা গেছে।
