দেশের উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রাম দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে অবহেলিত—এমন অভিযোগ স্থানীয় জনগণের মুখে মুখে। বিশেষ করে কুড়িগ্রাম-০১ (ভূরুঙ্গামারী-নাগেশ্বরী-কচাকাটা) আসনের উন্নয়ন নিয়ে মানুষের মধ্যে রয়েছে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ও হতাশা।
স্থানীয়দের মতে, এ আসনে এখনো এমন বলিষ্ঠ ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্ব তৈরি হয়নি, যারা সংসদে গিয়ে এলাকার সমস্যা ও সম্ভাবনা যথাযথভাবে তুলে ধরতে পারেন। ফলে উন্নয়ন ও নাগরিক সুবিধা থেকে পিছিয়ে পড়ছে এই অঞ্চল।
এই অবস্থায় পরিবর্তনের দাবি তুলছেন সাধারণ ভোটাররা। তাদের মত, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নেতৃত্বেও পরিবর্তন জরুরি। এখন দরকার শিক্ষিত, সৎ ও সমাজসচেতন নেতৃত্ব।
নেতৃত্বের বিকল্প ভাবনায় উঠে আসছে নতুন মুখ এনসিপি’র মাহফুজুল ইসলাম (কিরন)। আলোচনায় উঠে আসা তরুণ শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক মাহফুজুল ইসলাম (কিরন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। পাশাপাশি তার পরিবার কুড়িগ্রামের বিভিন্ন সামাজিক ও শিক্ষামূলক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে।
পারিবারিক উদ্যোগে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে লাইব্রেরি ও স্কুলভিত্তিক বুক কর্নার, যেখানে শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে বই পড়ার সুযোগ পাচ্ছে। একই সঙ্গে “মাকসুদা-আজিজ বৃত্তি প্রকল্প” এর মাধ্যমে প্রতিবছর শতাধিক গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
এছাড়াও তিনি তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে কারিগরি প্রশিক্ষণ, স্থানীয় সংগঠন গঠন ও নেতৃত্ব বিকাশ কর্মসূচি এবং দুস্থ-অসহায় মানুষের সহায়তা কার্যক্রম নিয়মিতভাবে পরিচালনা করে আসছেন।
সম্প্রতি ভূরুঙ্গামারীতে অনুষ্ঠিত “মুভমেন্ট ফর পাংকচুয়ালিটি সম্মেলন–২০২৫” তরুণ সমাজে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সময় সচেতনতার মাধ্যমে ব্যক্তি ও সমাজজীবনে পরিবর্তন আনার লক্ষ্য নিয়ে গড়ে ওঠা এই আন্দোলনের অতিরিক্ত মুখ্য সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মাহফুজুল ইসলাম (কিরন)।
উদ্যোগটি বর্তমানে ভূরুঙ্গামারী ছাড়িয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা নাগেশ্বরী ও কচাকাটাতেও ছড়িয়ে পড়ছে, যা নতুন প্রজন্মের মধ্যে সময়ানুবর্তিতা ও দায়িত্ববোধ জাগ্রত করছে।
এছাড়াও তিনি ১৫ দফা কর্মসূচি ও ৭ দফা অঙ্গীকার নিয়ে হাট-বাজার থেকে শুরু করে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে যাচ্ছেন।
ভূরুঙ্গামারীর একাধিক সচেতন নাগরিকের মতে, “আমরা এমন নেতা চাই, যিনি ব্যক্তিগত স্বার্থ নয়, সমাজের সমস্যার সমাধানে নিবেদিত। চাটুকারিতার রাজনীতি নয়, বাস্তব কাজের মাধ্যমে যিনি মানুষের আস্থা অর্জন করবেন। কিরন ভাই সেই যোগ্যতার অধিকারী।”
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়ন ঘোষণা না করলেও রাজনৈতিক অঙ্গনে মাহফুজুল ইসলাম (কিরন)-এর নাম ইতোমধ্যে আলোচিত হয়ে উঠেছে। এনসিপি’র সাংগঠনিক দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই তিনি ভূরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরী ও কচাকাটা থানার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রামে জনসংযোগ, উঠান বৈঠক ও প্রচারণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তরুণ প্রজন্মের চিন্তাশীল নেতৃত্ব হিসেবে মাহফুজুল ইসলাম (কিরন) যদি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন পান, তবে কুড়িগ্রাম-০১ আসনে নতুন রাজনীতির ধারা সূচিত হতে পারে।
কুড়িগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের উন্নয়ন-বঞ্চনার ইতিহাস পাল্টাতে হলে দরকার দায়িত্বশীল, শিক্ষিত ও দূরদর্শী নেতৃত্ব। অনেকে বিশ্বাস করছেন, সেই পরিবর্তনের প্রতীক হতে পারেন মাহফুজুল ইসলাম (কিরন)।
